আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রমজানকে সামনে রেখে মুড়ি ভাজার ধুম

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। রমজানে ইফতার মুড়ি ছাড়া কল্পনা করা যায় না। তাই রমজান উপলক্ষে ইফতারের অন্যতম খাবার মুড়ি ভাজার ধুম পড়েছে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন গ্রামে। নারায়ণগঞ্জ সদর ও রুপগঞ্জ উপজেলায় মুড়ি ভাজার রীতি আদি কাল থেকে এখনো চলে আসছে। সদর উপজেলার আলীরটেক, ডিগ্রিচর, কুড়েরপার, রাধানগর। রুপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন, সদর ইউনিয়ন, দাউদপুর ইউনিয়ন, ভোলাব ইউনিয়ন, ভুলতা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সারা বছর ধরেই চলে মুড়ি ভাজার কর্মযজ্ঞ। পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে আরো বেশি ব্যস্ত হয়ে ওঠেছেন মুড়ি তৈরির এই নিপুন কারিগররা।

রমজানের ইফতারে ছোলা ও মুড়ি গ্রামবাংলার প্রধান দু’টি উপাদান। রোজার সময় হাটবাজারে ছোলা ভাজা পাওয়া গেলেও বাড়িতে মহিলাদের মুড়ি ভাজার রেওয়াজ এখনও রয়েছে। এর স্বাধগুনও বাজারের মুড়ি থেকে আলাদা।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের বেশ কিছু বাড়িতে চলছে এখন চলছে মুড়ি ভাজার ধুম। মুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শতাধিক পরিবারের মানুষ। মুড়ি ভাজার মূল কারিগর নারী হলেও তাদের সঙ্গে এক যোগে কাজ করছেন বাড়িতে থাকা অনেক অবসর পুরুষরাও। নিতান্তই সখের বসে মুড়ি ভাজতে গিয়ে কেউ কেউ এটিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

ঐ এলাকার শিক্ষক মোঃ এমদাদুল্লাহ বলেন, বাড়িতে ভাজা মুড়ির মজাই আলাদা। শুধু রোজায় নয়, সারা বছর খাওয়ার জন্য মুড়ি ভাজা হয়। তবে এ সময়টায় মুড়ির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।

আলীরটেক এলাকার মুড়ি ভাজার কারিগর পিয়ারা বেগম বলেন, রমজানে মুড়ি ভেজে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়ি পাঠাতে হয়। এটা আমাদের গ্রামের রেওয়াজ। তাই প্রতি বছর রোজাকে সামনে রেখে মুড়ি ভাজতে হয়। কিনা মুড়ির চেয়ে বাজতে দাম খরচ বেশি হলেও স্বাধের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।

অনেকেই জানান, গ্রাম আর শহর কি, ইফতার মানেই মুড়ি, মুড়ি ছাড়া ইফতার পরিপূর্ন মনে হয় না। তবে দোকানের কেনা বা মেশিনে বানানো মুড়ির চেয়ে বাড়িতে ভাজার মুড়ির স্বাদই আলাদা।